তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর বাড়ি ভেঙেছে। ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল নয়টা বেজে পাঁচ মিনিট নাগাদ এই ভূমিকম্প হয়।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের পরিমাপ ছিল ৬.৮। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে ভূমিকম্পের পরিমাপ হলো সাত দশমিক এক।
এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ডাংরিতে মাউন্ট এভারেস্টের উত্তর দিকে।
স্থানীয় সময় বেলা দশটা পর্যন্ত একাধিক আফটারশক আসে বলে শিনহুয়া জানিয়েছে। সরকারি ব্রডকাস্টার সিসিটিভি জানিয়েছে, ডিংরি কাউন্টি ও তার আশপাশের এলাকা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
ভিডিও ফুটেজ দেখে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, শিগেইসের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রচুর বাড়ি ভেঙে রাস্তায় এসে পড়েছে। এখানেই পাঞ্চেন লামা থাকেন।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বাসিন্দারাও এই ভূমিকম্প খুব ভালোভাবে টের পান। তারা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন।
নেপালের সরকারি কর্মকর্তা আলোক রাজ ঘিমিরে জানিয়েছেন, চারশো কিলোমিটার দূরে থাকা সত্ত্বেও রীতিমতো জোরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দেখতে এবং মানুষের কাছে যেতে।
ভারতে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও বিহারে ভূমিকম্প টের পাওয়া গেছে। উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প ভালোভাবেই টের পাওয়া যায়। শিলিগুড়ি-সহ বিভিন্ন শহরে ভূমিকম্প টের পেয়েছেন মানুষ। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
এদিকে, বাংলাদেশেও ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা ফারজানা সুলতানা বলেন, ‘সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।’